পেঁয়াজের উপকারী গুণ

দৈনন্দিন রান্নায় পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্নার কথা ভাবাই যায়না। এতে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন আছে যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হাঁপানি সমস্যা কমায় ও ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তাই এবারে পেঁয়াজের ব্যতিক্রমী কিছু গুণের কথা জানিয়ে দিচ্ছে অর্থসূচক:
এক. মশা বা কীটপতঙ্গের কামড় থেকে রক্ষা করে:
মশার উৎপাত বা কীটপতঙ্গের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পেঁয়াজের রসের কোনো বিকল্প নেই। শরীরের অনাবৃত অংশে মাভিয়ে নিয়ে দেখা যাবে মশা বা কীটপতঙ্গ আর কামড়াবে না।
দুই. ব্যথা দূর করে:
অনেক সময় ব্যথা দূর করতে একটু পেঁয়াজ আক্রান্ত স্থানে ঘষে দিলেই ব্যথা কমে যাবে।
তিন. গলা ব্যথায়:
গলা ব্যথা হলে একটু গরম পানিতে পেঁয়াজের রস দিয়ে অল্প করে পান করুন, এতে ব্যথা সেরে যাবে।
চার. পোড়া ব্যথায়:
শরীরের পোড়া স্থানে পেঁয়াজের রস লাগালে ব্যথা থাকবে না। জ্বালাও কমে যাবে।
পাঁচ. ব্রণ দূর করতে:
ব্রণে পেঁয়াজের রস মেখে দিলে ব্রণ চলে যাবে।
ছয়. চুল পড়া কমাতে:
চুল পড়া কমাতে পেঁয়াজের রসের বিকল্প নেই। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়াকে শক্ত করে।
সাত. এন্টিব্যাকটোরিয়াল:
পেঁয়াজে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই ফোড়া বা ঘা পেঁয়াজ দিয়ে ধুলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
আট. হেঁচকি দূর করতে:
কোনোমতেই হেঁচকি বন্ধ না হলে, পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
নয়. বমি বন্ধ করতে:
বমি বন্ধ করতে কয়েকফোটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে পান করলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।
দশ. ধাতুর দাগ দূর করতে:
সাধারণত চামচ, দা, ছুরি বা যেকোনো ধাতব সামগ্রীতে দাগ বসে যায়। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ কেটে দিয়ে ঘষলে এই কঠিন দাগও উঠে যায়।
এরকম আরও নিউজ পেতে ভিজিট করতে পারেনঃ http://www.arthosuchak.com/life-style/

আরও ৫৫ প্রাণীর সন্ধান

প্রাণীজগতে আরও ২০ টি উভচর ও ৩৫ টি সরীসৃপ প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। ভারত ও ভুটানের মানস অরণ্যে এদের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে ভুটানের মানস কর্তৃপক্ষ।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ ব্যাঙ, বাব্স নেস্ট ফ্রগ, টুইন স্পটেড গাছ-ব্যাঙ, নীল পাখাওয়ালা গিরগিটি, পোপ্স পিট ভাইপার ইত্যাদি।
রোববার ভারতের একটি বার্তাসংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
কতৃপক্ষ বলছে, এই প্রথমবারের মতো ভারত সীমানায় মানস অরন্যে ১৯টি এবং ভুটান অংশে ১৮টি নতুন প্রজাতির অস্তিত্বের খোঁজ পেয়েছেন তারা।
মানস জাতীয় অরণ্যের উর্ধতন কর্মকর্তা সোনালি ঘোষ জানিয়েছেন, ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া ও আরণ্যক গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্য বিদ্যাপীঠ কলেজের গবেষক ও বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টায় তারা এই অনুসন্ধান চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে উভচর শ্রেনীর সন্ধান তারা পেয়েছেন সেগুলো বিপন্ন এবং বিরল তালিকাভুক্ত।
গবেষক দলের অভিজিৎ দাসের বলেন, দুই দেশে ছড়িয়ে থাকা এই মানসের জঙ্গলে প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রকৃতি বুঝতে নিয়মিত সমীক্ষা প্রয়োজন। তাই দরকার মানস জাতীয় উদ্যানে বার্ষিক প্রাণী শুমারি।

ফাইনালে পরাজয়ে আর্জেন্টিনায় সংঘর্ষ

জার্মান আগ্রাসনের মুখে উদযাপন করা হলো না আর্জেন্টাইনদের।
২৪ বছর পর আর্জেন্টিনার ফাইনাল খেলাকে উদযাপন করতে রাজধানী বুয়েন্স আইরেসে আয়োজিত র‍্যালী জার্মানির কাছে পরাজয়ের পর ভাংচুর, পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ব্যাপক ধর-পাকড়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
এক খবরে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, রোববার খেলা শুরুর আগে শত শত সমর্থক বুয়েন্স আইরেসের ওবেলিস্কে এসে জড়ো হয়।
সাধারণত বিজয় উদযাপন করতে আর্জেন্টাইনরা এই চত্বরে জড়ো হয়।
কিন্তু জার্মান বদলি খেলোয়াড় মারিও গটজের গোলে আর্জেন্টিনার পরাজয়ের পর উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা দোকান-পাট ভাংচুর, সংবাদ কর্মীদের মারধর এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানো শুরু করে।
পাল্টা জবাবে পুলিশ জল কামান ও টিয়ার শেলের মাধ্যমে উচ্ছৃঙ্খলা থামানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং ৪০ জনকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরেক খবরে জানা গেছে, আর্জেন্টিনার স্যান মিগুয়লেও সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মতো আসরে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আর্জেন্টিনা। হাল আমলের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখলেও অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়ে রানার্স আপ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো আর্জেন্টিনাকে।

এক দিনের স্বপ্নপূরণে তিন খুদে ডাক্তার

শনিবার বেলা বারোটা। ভারতের এসএসকেএম হাসপাতালের ব্যস্ত অঙ্কোলজি বহির্বিভাগ৷ বেডে শুয়ে থাকা রোগীর পেট টিপে পরীক্ষা করছেন ডাক্তার। খানিক পর স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে সমস্যাটা ভালো করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতেই বিপত্তি!
ডাক্তারবাবুর হাতই যে পৌঁছচ্ছে না রোগীর শরীরের প্রান্তে। সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসলো শক্তপোক্ত দুটো হাত। ডাক্তারকে কোলে তুলে এগিয়ে দিল রোগীর দিকে।
কারণ, ডাক্তারের বয়স যে মোটে সাত। গপ্পটা এ রকম- ভারতের বসিরহাটের সরিফা খাতুন, হাসনাবাদের হাবিব গাজি আর নদিয়ার অন্তরা দাস। স্বপ্ন দেখেছিল বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার। কিন্ত, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন শিশুর সেই স্বপ্ন মাঝ পথেই শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
এমনই গুরুতর অসুস্থ শিশুদের স্বপ্নপূরণে এই মূহুর্তে এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শনিবার সেই সংস্থার সদস্য সরিফা, অন্তরাদের ‘এক দিনের ডাক্তার’ করলেন এসএসকেএম হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।
বিশেষ ভাবে তৈরি বহির্বিভাগ, রোগী সেজে প্রস্ত্তত জুনিয়র ডাক্তার, ছোট মাপের অ্যাপ্রন, স্টেথোস্কোপ, প্রেসক্রিপশন লেখার আলাদা প্যাড পর্যন্ত। দু’ঘণ্টার ডাক্তারি সেশনের পর ‘এক দিনের ডাক্তার’দের চওড়া হাসিমুখই বুঝিয়ে দিল তাদের তৃপ্তি৷ আর কৌশিকবাবু?
তিনি বললেন, ফুটফুটে ওই বাচ্চাগুলোর স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আমি খুবই খুশি। সূত্র- এই সময়।

জার্মানির মাস্তানির পেছনে পাকিস্তান!

ফাইনালের আগে ১৭০ গোল। সাম্প্রতিক প্রতিটা বিশ্বকাপে চলছিল গোল-খরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পরে ফুটবলপ্রেমীদের আশঙ্কা ছিল, বেশি গোল আর হয়তো কোনও বিশ্বকাপেই দেখা যাবে না!
কিন্তু ব্রাজিলে সেই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হলো। পোস্টের প্রায় সব ‘অ্যাঙ্গল’ থেকে গোল আসলো পেলের দেশে। কারণ একটাই, ২০১৪ বিশ্বকাপ বলের আধুনিক প্রযুক্তি। যার নাম ‘ব্রাজুকা’।
যে ফুটবলের সৌজন্যে এখন ইতিহাসের মুখে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। ফাইনালে দু’গোল  হলে, গোল সংখ্যার বিচারে আগের সব বিশ্বকাপকে পিছনে ফেলে দিতো এ বারের টুর্নামেন্ট।
মজার কথা, ব্রাজুকা বানানোর পেছনে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ; ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬৪ নম্বর পাকিস্তান। যে বল নিয়ে ম্যাজিক দেখিয়েছেন মেসি-নেইমার-মুলাররা। সেই ব্রাজুকা তৈরি পাকিস্তানের শিয়ালকোট শহরের কারখানায়।
মূলত মহিলা শ্রমিকদের হাতে তৈরি এই ব্রাজুকা। সঙ্গে আছে কতিপয় শিশু শ্রমিকেরও পরিশ্রম। ব্রাজুকার ভেতরের বিউটাইল ব্লাডার দিয়ে আরও বেশি বাতাস ঢুকতে পারে। আশপাশে থাকে নাইলন। ফলে আরও হালকা এটি।
ব্রাজুকা প্রস্তুতকারী সংস্থার নির্বাহী প্রধান খোয়াজা মাসুদ আখতার জানিয়েছেন, “চীনের সঙ্গে এক রকম লড়াই করেই বিশ্বকাপের বল বানানোর চুক্তি ছিনিয়ে নিয়েছি আমরা। জানতাম খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ওপর অনেক পড়াশুনো আছে আমাদের সংস্থার।” তিনি বলেন, ব্রাজুকা বানাতে অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রাজুকা পরীক্ষায় নেমেছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী কেন্দ্র নাসা। এই বল কতটা উঁচুতে উঠতে পারে, কতটা ফ্লাইট থাকে, কতটা গতিতে পরাস্ত করতে পারে গোলকিপারদের- তা খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখেছে বিজ্ঞানীরা।  নাসার এক বিজ্ঞানী ভাষায়, “আমরা পরীক্ষা করেছি, কতটা স্পিন করতে পারে ব্রাজুকা।”
মজার ব্যাপার, ব্রাজিলে এত বেশি গোল হলেও নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোলকিপারদের সুবিধার জন্যই এই বল বানানো হয়েছে। হাওয়ায় খুব বেশি বাঁক খায় না এই বল।” বিশ্বকাপের আগে দু’বছর ধরে নানা দেশের দুশোর বেশি ফুটবলার পরীক্ষা করেছিলেন ব্রাজুকা। যে বল শেষমেশ সফল হয়েছে ফুটবলভক্তদের মনোরঞ্জন দিতে। সফল ভুমিকা পালন করেছে জার্মানির মাস্তানিতে।