পেঁয়াজের উপকারী গুণ

দৈনন্দিন রান্নায় পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্নার কথা ভাবাই যায়না। এতে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন আছে যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হাঁপানি সমস্যা কমায় ও ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তাই এবারে পেঁয়াজের ব্যতিক্রমী কিছু গুণের কথা জানিয়ে দিচ্ছে অর্থসূচক:
এক. মশা বা কীটপতঙ্গের কামড় থেকে রক্ষা করে:
মশার উৎপাত বা কীটপতঙ্গের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে পেঁয়াজের রসের কোনো বিকল্প নেই। শরীরের অনাবৃত অংশে মাভিয়ে নিয়ে দেখা যাবে মশা বা কীটপতঙ্গ আর কামড়াবে না।
দুই. ব্যথা দূর করে:
অনেক সময় ব্যথা দূর করতে একটু পেঁয়াজ আক্রান্ত স্থানে ঘষে দিলেই ব্যথা কমে যাবে।
তিন. গলা ব্যথায়:
গলা ব্যথা হলে একটু গরম পানিতে পেঁয়াজের রস দিয়ে অল্প করে পান করুন, এতে ব্যথা সেরে যাবে।
চার. পোড়া ব্যথায়:
শরীরের পোড়া স্থানে পেঁয়াজের রস লাগালে ব্যথা থাকবে না। জ্বালাও কমে যাবে।
পাঁচ. ব্রণ দূর করতে:
ব্রণে পেঁয়াজের রস মেখে দিলে ব্রণ চলে যাবে।
ছয়. চুল পড়া কমাতে:
চুল পড়া কমাতে পেঁয়াজের রসের বিকল্প নেই। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়াকে শক্ত করে।
সাত. এন্টিব্যাকটোরিয়াল:
পেঁয়াজে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই ফোড়া বা ঘা পেঁয়াজ দিয়ে ধুলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
আট. হেঁচকি দূর করতে:
কোনোমতেই হেঁচকি বন্ধ না হলে, পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
নয়. বমি বন্ধ করতে:
বমি বন্ধ করতে কয়েকফোটা পেঁয়াজের রস পানিতে মিশিয়ে পান করলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।
দশ. ধাতুর দাগ দূর করতে:
সাধারণত চামচ, দা, ছুরি বা যেকোনো ধাতব সামগ্রীতে দাগ বসে যায়। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ কেটে দিয়ে ঘষলে এই কঠিন দাগও উঠে যায়।
এরকম আরও নিউজ পেতে ভিজিট করতে পারেনঃ http://www.arthosuchak.com/life-style/

আরও ৫৫ প্রাণীর সন্ধান

প্রাণীজগতে আরও ২০ টি উভচর ও ৩৫ টি সরীসৃপ প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। ভারত ও ভুটানের মানস অরণ্যে এদের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে ভুটানের মানস কর্তৃপক্ষ।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে সবুজ ব্যাঙ, বাব্স নেস্ট ফ্রগ, টুইন স্পটেড গাছ-ব্যাঙ, নীল পাখাওয়ালা গিরগিটি, পোপ্স পিট ভাইপার ইত্যাদি।
রোববার ভারতের একটি বার্তাসংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
কতৃপক্ষ বলছে, এই প্রথমবারের মতো ভারত সীমানায় মানস অরন্যে ১৯টি এবং ভুটান অংশে ১৮টি নতুন প্রজাতির অস্তিত্বের খোঁজ পেয়েছেন তারা।
মানস জাতীয় অরণ্যের উর্ধতন কর্মকর্তা সোনালি ঘোষ জানিয়েছেন, ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া ও আরণ্যক গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্য বিদ্যাপীঠ কলেজের গবেষক ও বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টায় তারা এই অনুসন্ধান চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে উভচর শ্রেনীর সন্ধান তারা পেয়েছেন সেগুলো বিপন্ন এবং বিরল তালিকাভুক্ত।
গবেষক দলের অভিজিৎ দাসের বলেন, দুই দেশে ছড়িয়ে থাকা এই মানসের জঙ্গলে প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রকৃতি বুঝতে নিয়মিত সমীক্ষা প্রয়োজন। তাই দরকার মানস জাতীয় উদ্যানে বার্ষিক প্রাণী শুমারি।

ফাইনালে পরাজয়ে আর্জেন্টিনায় সংঘর্ষ

জার্মান আগ্রাসনের মুখে উদযাপন করা হলো না আর্জেন্টাইনদের।
২৪ বছর পর আর্জেন্টিনার ফাইনাল খেলাকে উদযাপন করতে রাজধানী বুয়েন্স আইরেসে আয়োজিত র‍্যালী জার্মানির কাছে পরাজয়ের পর ভাংচুর, পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ব্যাপক ধর-পাকড়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
এক খবরে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, রোববার খেলা শুরুর আগে শত শত সমর্থক বুয়েন্স আইরেসের ওবেলিস্কে এসে জড়ো হয়।
সাধারণত বিজয় উদযাপন করতে আর্জেন্টাইনরা এই চত্বরে জড়ো হয়।
কিন্তু জার্মান বদলি খেলোয়াড় মারিও গটজের গোলে আর্জেন্টিনার পরাজয়ের পর উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা দোকান-পাট ভাংচুর, সংবাদ কর্মীদের মারধর এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানো শুরু করে।
পাল্টা জবাবে পুলিশ জল কামান ও টিয়ার শেলের মাধ্যমে উচ্ছৃঙ্খলা থামানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং ৪০ জনকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরেক খবরে জানা গেছে, আর্জেন্টিনার স্যান মিগুয়লেও সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের মতো আসরে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে আর্জেন্টিনা। হাল আমলের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখলেও অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়ে রানার্স আপ হয়েই বাড়ি ফিরতে হলো আর্জেন্টিনাকে।

এক দিনের স্বপ্নপূরণে তিন খুদে ডাক্তার

শনিবার বেলা বারোটা। ভারতের এসএসকেএম হাসপাতালের ব্যস্ত অঙ্কোলজি বহির্বিভাগ৷ বেডে শুয়ে থাকা রোগীর পেট টিপে পরীক্ষা করছেন ডাক্তার। খানিক পর স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে সমস্যাটা ভালো করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতেই বিপত্তি!
ডাক্তারবাবুর হাতই যে পৌঁছচ্ছে না রোগীর শরীরের প্রান্তে। সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসলো শক্তপোক্ত দুটো হাত। ডাক্তারকে কোলে তুলে এগিয়ে দিল রোগীর দিকে।
কারণ, ডাক্তারের বয়স যে মোটে সাত। গপ্পটা এ রকম- ভারতের বসিরহাটের সরিফা খাতুন, হাসনাবাদের হাবিব গাজি আর নদিয়ার অন্তরা দাস। স্বপ্ন দেখেছিল বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার। কিন্ত, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন শিশুর সেই স্বপ্ন মাঝ পথেই শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
এমনই গুরুতর অসুস্থ শিশুদের স্বপ্নপূরণে এই মূহুর্তে এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শনিবার সেই সংস্থার সদস্য সরিফা, অন্তরাদের ‘এক দিনের ডাক্তার’ করলেন এসএসকেএম হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।
বিশেষ ভাবে তৈরি বহির্বিভাগ, রোগী সেজে প্রস্ত্তত জুনিয়র ডাক্তার, ছোট মাপের অ্যাপ্রন, স্টেথোস্কোপ, প্রেসক্রিপশন লেখার আলাদা প্যাড পর্যন্ত। দু’ঘণ্টার ডাক্তারি সেশনের পর ‘এক দিনের ডাক্তার’দের চওড়া হাসিমুখই বুঝিয়ে দিল তাদের তৃপ্তি৷ আর কৌশিকবাবু?
তিনি বললেন, ফুটফুটে ওই বাচ্চাগুলোর স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আমি খুবই খুশি। সূত্র- এই সময়।

জার্মানির মাস্তানির পেছনে পাকিস্তান!

ফাইনালের আগে ১৭০ গোল। সাম্প্রতিক প্রতিটা বিশ্বকাপে চলছিল গোল-খরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পরে ফুটবলপ্রেমীদের আশঙ্কা ছিল, বেশি গোল আর হয়তো কোনও বিশ্বকাপেই দেখা যাবে না!
কিন্তু ব্রাজিলে সেই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হলো। পোস্টের প্রায় সব ‘অ্যাঙ্গল’ থেকে গোল আসলো পেলের দেশে। কারণ একটাই, ২০১৪ বিশ্বকাপ বলের আধুনিক প্রযুক্তি। যার নাম ‘ব্রাজুকা’।
যে ফুটবলের সৌজন্যে এখন ইতিহাসের মুখে দাঁড়িয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। ফাইনালে দু’গোল  হলে, গোল সংখ্যার বিচারে আগের সব বিশ্বকাপকে পিছনে ফেলে দিতো এ বারের টুর্নামেন্ট।
মজার কথা, ব্রাজুকা বানানোর পেছনে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ; ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬৪ নম্বর পাকিস্তান। যে বল নিয়ে ম্যাজিক দেখিয়েছেন মেসি-নেইমার-মুলাররা। সেই ব্রাজুকা তৈরি পাকিস্তানের শিয়ালকোট শহরের কারখানায়।
মূলত মহিলা শ্রমিকদের হাতে তৈরি এই ব্রাজুকা। সঙ্গে আছে কতিপয় শিশু শ্রমিকেরও পরিশ্রম। ব্রাজুকার ভেতরের বিউটাইল ব্লাডার দিয়ে আরও বেশি বাতাস ঢুকতে পারে। আশপাশে থাকে নাইলন। ফলে আরও হালকা এটি।
ব্রাজুকা প্রস্তুতকারী সংস্থার নির্বাহী প্রধান খোয়াজা মাসুদ আখতার জানিয়েছেন, “চীনের সঙ্গে এক রকম লড়াই করেই বিশ্বকাপের বল বানানোর চুক্তি ছিনিয়ে নিয়েছি আমরা। জানতাম খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ওপর অনেক পড়াশুনো আছে আমাদের সংস্থার।” তিনি বলেন, ব্রাজুকা বানাতে অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রাজুকা পরীক্ষায় নেমেছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী কেন্দ্র নাসা। এই বল কতটা উঁচুতে উঠতে পারে, কতটা ফ্লাইট থাকে, কতটা গতিতে পরাস্ত করতে পারে গোলকিপারদের- তা খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখেছে বিজ্ঞানীরা।  নাসার এক বিজ্ঞানী ভাষায়, “আমরা পরীক্ষা করেছি, কতটা স্পিন করতে পারে ব্রাজুকা।”
মজার ব্যাপার, ব্রাজিলে এত বেশি গোল হলেও নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোলকিপারদের সুবিধার জন্যই এই বল বানানো হয়েছে। হাওয়ায় খুব বেশি বাঁক খায় না এই বল।” বিশ্বকাপের আগে দু’বছর ধরে নানা দেশের দুশোর বেশি ফুটবলার পরীক্ষা করেছিলেন ব্রাজুকা। যে বল শেষমেশ সফল হয়েছে ফুটবলভক্তদের মনোরঞ্জন দিতে। সফল ভুমিকা পালন করেছে জার্মানির মাস্তানিতে।

থানায় জিডি করার নিয়ম-কানুন ও একটি নমুনা কপি

নানাবিধ সমস্যায় পড়ে আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দ্বারস্থ হয়ে থাকি। কিন্তু কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা থানায় লিখিত আকারে জানালে পুলিশ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে। আর কিভাবে আমরা থানা থেকে সেই সহযোগিতা নিতে পারি তা অনেকেরই জানা নেই।
মূল্যবান যে কোনো জিনিস হারালে যেমন- সার্টিফিকেট, দলিল, লাইসেন্স, পাসপোর্ট, মূল্যবান রশিদ, চেকবই, এটিএম বা ক্রেডিট স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ইত্যাদি। অথবা কোনো প্রকার হুমকি পেলে বা হুমকির আশংকা থাকলে কিংবা কেউ নিখোঁজ হলেও জিডি করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে মামলা হয় না সেসব ক্ষেত্রেই থানায় জিডি করা যায়। জিডি করার কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও নতুন করে হারানো কাগজ তুলতে হলেও জিডির কপির প্রয়োজন হয়।
এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ হলো নিকটবর্তী থানাকে জানানো। আর এটি জানাবেন একটি সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে, যাকে আমরা সংক্ষেপে জিডি বলে থাকি। এ ধরনের জিডি করার অর্থ হলো- বিষয়টি সম্পর্কে থানাকে অবগত করা, যাতে থানা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারে।
এবার আসুন জেনে নেই জিডিতে কী কী উল্লেখ করতে হবে:
১. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে লিখতে হবে এবং থানার নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে।
২. বিষয় : ‘জিডি করার জন্য আবেদন’- এভাবে লিখতে হবে।
৩. অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা করলে জিডিতে আশঙ্কার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
৪. হুমকি দিলে হুমকি দেওয়ার স্থান, তারিখ, সময়, সাক্ষী থাকলে তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৫. হুমকি প্রদানকারী পরিচিত হলে তার/তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৬. অপরিচিত হলে তাদের শনাক্তকরণের বর্ণনা দিতে হবে।
৭. জিডি নথিভুক্ত করে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে।
৮. সর্বশেষ জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও তারিখ লিখতে হবে।
উল্লেখ্য, জিডি দুই কপি করতে হবে। এক কপি নথিভুক্ত করার জন্য থানায় জমা দিতে হবে, আরেক কপি থানার কর্মকর্তার সিল এবং জিডির নম্বর সংবলিত কপিটি যত্ন করে সংরক্ষণ করতে হবে। জিডি করতে থানায় কোনো ফি দিতে হয় না।
জিডির একটি নমুনা কপি:
তারিখঃ ………………
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।
বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম: …………………………………
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….
এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত …………………….. তারিখ ……………. সময় …………….জায়গা থেকে  আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।
বর্ণনা : (যা যা হারিয়েছে)
বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।
বিনীত
নাম:
ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর:

প্রাইমারি মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেট কী?

শেয়ার ব্যবসা করতে চান? শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জানাতে চান? তাহলে অর্থসূচকের সাথে থাকুন। তাহলেই পাবেন আপনার জিজ্ঞাসার অনেক সমাধান।
আজকের বিষয় প্রাইমারি মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেট কী? দেশের শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে গেলে আপনি দুইভাবে করতে পারেন।
এক প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে এবং দুই সেকেন্ডারি শেয়ারের মাধ্যমে।
প্রাইমারি শেয়ারঃ
বাজারে কোনো কম্পানি প্রথমে প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোনো কম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে। শোনা যায় সবাই বলে প্রাইমারি শেয়ারে কোন লস নাই। সেকেন্ডারি শেয়ারে প্রচুর রিস্ক। এরকম কথা তারা কেন বলে আসুন জেনে নেই। প্রতিটি কম্পানির শেয়ারের একটা ফেস ভ্যালু থাকে। কম্পানি যখন তার শেয়ারটি মার্কেটে ছাড়তে চায় তখন সে ফেস ভ্যালুর সাথে প্রিমিয়াম যোগ করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি অফার করে। এসইসি যদি অনুমোদন দেয় তবে তারা তাদের শেয়ার কেনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে। যাকে আমরা IPO/আইপিও বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বলে থাকি।
ধরা যাক কোনো কম্পানির ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং তারা ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করল ১৫ টাকা। এখন আপনি যদি ওই শেয়ার IPO এর মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তবে আপনার প্রতি শেয়ারে দাম পরে ১৫ টাকা। আপনি এখন ইচ্ছা করলে এই শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। সাধারণত দেখা যায় প্রাইমারি শেয়ারের যে দাম তার তুলনায় সেকেন্ডারি মার্কেটে এর দাম বেশি হয়ে থাকে। আপনার শেয়ারটি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে ২৫ টাকায় ওপেন হয় তবে আপনি তখন বিক্রি করলে প্রতি শেয়ারে ১০ টাকা লাভ পেয়ে যাবেন। আপনি যদি মনে করেন এই কম্পানি সামনে আরও ভালো করবে তবে প্রাইমারিতে প্রাপ্ত শেয়ার আপনি অনেক দিন ধরেও রাখতে পারেন পরবর্তীকালে বেশি দামে বিক্রির জন্য। আবার ধরুন আপনি যে কম্পানির প্রাইমারি শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন তার প্রিমিয়াম অনেক বেশি। তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি যে দামে শেয়ার কিনেছেন তার তুলনায় দাম কমেও ওপেন হতে পারে। তাই প্রাইমারি শেয়ার মানেই লাভ না মনে করে কম্পানিটি কী দামে শেয়ার ছাড়ছে  এবং কম্পানির আয় কেমন অর্থাৎ কম্পানিটি ভালো কি না তা যাচাই করে কিনুন।
সেকেন্ডারি শেয়ারঃ
প্রাইমারি শেয়ার যখন কেউ বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিণত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে আপনার শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ, আপনাকে ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল প্লাস টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ধারণা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় আপনি ভালো লাভ করতে পারবেন। আর আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম জায়গা।
তবে কেউ যদি মনে করেন শেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন তাদের এ ব্যবসায় আসা উচিত নয়। কারণ, প্রতি ব্যবসাতেই লাভ লস থাকে এবং পরিশ্রমের দরকার হয়। তাই যথেষ্ট মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে ধীরেধীরে আপনি শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো প্রফিট করতে পারবেন এ আশ্বাস আমরা দিতে পারি।

এরকম আরো নানা ধরনের নিউজ জানতে ভিজিট করতে পারেন আমাদের মুল সাইটঃ http://www.arthosuchak.com/

ভালো শেয়ার কেনার ১০ টিপস

শেয়ার ব্যবসা করতে চান? তাহলে শেয়ার কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং দেশ-বিদেশের বাজারের অভিজ্ঞতার আলোকে শেয়ার ব্যবসায় আগ্রহীদের জন্য কিছু মৌলিক বিষয় তুলে ধরেছে। তবে সব সময় যে এসব বিষয় কার্যকর ফল দেবে এমন নাও হতে পারে। বিশেষ করে স্বল্প মেয়াদে কাঙ্খিত ফল পাওয়া মুশকিল। তবে বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে বিনিয়োগ করা হলে দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
১। শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (P/E) দেখুন। এটা ২০ এর কম হওয়া ভালো। পিই রেশিও যত কম হয়, বিনিয়োগে ঝুঁকি তত কম। মূল্য-আয় অনুপাত হচ্ছে একটি কোম্পানির শেয়ার তার আয়ের কতগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তার একটি পরিমাপ। কোনো কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় যদি হয় ৫ টাকা, আর বাজারে শেয়ারটির দাম থাকে ৪৫ টাকা, তাহলে মূল্য-আয় অনুপাত হবে ৯। এর অর্থ কোম্পানিটি যদি তার আয়ের পুরোটা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে দেয় তাহলে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পেতে ৯ বছর সময় লাগবে। কিন্তু শেয়ারটির বাজার মূল্য যদি হতো ১০০ টাকা, তাহলে মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও দাঁড়াতো ২০। অর্থাৎ কোম্পানির আয়ের ধারা অপরিবর্তিত থাকলে বিনিয়োগ ফেরতে ২০ বছর সময় প্রয়োজন।
২। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (NAV) দেখুন। এর সাথে বাজারমূল্যের একটা সামঞ্জস্য থাকা উচিত। যদিও কোম্পানির অবসায়ন (বিলুপ্তি) না হলে সম্পদ মূল্যে বিনিয়োগকারীর কার্যত কিছু যায় আসে না। কোম্পানির অবসায়ন হলেই কেবল শেয়ারহোল্ডাররা ওই সম্পদের কিছুটা ভাগ পেতে পারেন। এক্ষেত্রেও সম্পদ বিক্রির মূল্য থেকে আগে ব্যাংক ঋণ এবং অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপর  কিছু অবশিষ্ট থাকলে তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
৩। শেয়ার প্রতি আয় (EPS) দেখুন। এটা যত বেশি হবে ততই ভালো। ইপিএস বেশি হলে বেশি লভ্যাংশ দেওয়ার সুযোগ থাকে। ইপিএস কম হলে লভ্যাংশের সক্ষমতাও কম হয়।
৪। মোট শেয়ারের সংখ্যা দেখুন। আর দেখুন তার কতটুকু ফ্লোটিং। চাহিদা-যোগানের সূত্র অনুসারে শেয়ার সংখ্যা কম হলে তার মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে শেয়ার সংখ্যা বেশি হলে বাজারে তা অনেক বেশি সহজলভ্য হয়। এছাড়া নিয়মিত ভালো অঙ্কের লেনদেন হয় এমন শেয়ার কেনা ভালো। কারণ কোনো কারণে জরুরী ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন হলে সহজেই শেয়ার বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব। কিন্তু নিয়মিত লেনদেন হয় না এমন শেয়ারে বিনিয়োগ করা হলে জরুরিভিত্তিতে বিনিয়োগ প্রত্যাহার সম্ভব নয়।
৫। অনুমোদিত মূলধন (authorized capital) আর পরিশোধিত মূলধন (paid-up capital) এর রেশিও দেখুন। এই দুই মূলধনের পরিমাণ কাছাকাছি থাকলে বোনাস ও রাইট শেয়ার ইস্যু করা বেশ কঠিন। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিকে আগে অনুমোদিত মূলধন বাড়াতে হবে। বোনাস লভ্যাংশে যেসব বিনিয়োগকারীর বিশেষ ঝোঁক রয়েছে তাদের উচিত এসব বিষয় দেখা  নেওয়া।
৬। ডিভিডেন্ড ঈল্ড : শেয়ারের বাজার মূল্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি হতে পারে। তাই লভ্যাংশের হার প্রকৃত রিটার্ন নির্দেশ করে না। ডিভিডেন্ড ঈল্ডই শেয়ারের সঠিক রিটার্ন। বাজার মূল্যের ভিত্তিতে প্রাপ্য লভ্যাংশ বিনিয়োগের কত শতাংশ তা-ই হচ্ছে ডিভিডেন্ড ইল্ড। ঘোষিত লভ্যাংশকে ১০০ দিয়ে গুণ করে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের বাজার মূল্য দিয়ে ভাগ করলে ডিভিডেন্ড ইল্ড পাওয়া যায়। এ ইল্ড যত বেশি হবে বিনিয়োগকারীর প্রাপ্তিও তত বাড়বে।
৭। গত ৩-৪ বছরের ট্র্যাক রেকর্ড দেখুন। কী পরিমাণ ডিভিডেন্ড দেয় তা দেখুন। বার্ষিক গড় মূল্য দেখুন। চেষ্টা করুন এই মূল্যের কাছাকাছি দামে শেয়ার কেনার।
৮। ডিএসইর সাইটে প্রকাশিত গত ৫-৬ মাসের খবর দেখুন। পত্র-পত্রিকায় দেশ-বিদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসার সংবাদগুলো দেখুন। তাহলে সম্ভাবনাময় খাত ও কোম্পানি চিহ্নিত করা অনেক সহজ হবে।
৯। ডিএসই এখন ৪ মাস পর পর কোম্পানির আর্নিং রিপোর্ট দেয়। একটু মাথা খাটালেই বছর শেষে কী পরিমাণ লাভ হতে পারে তা জানা সম্ভব।
১০। আপনি যে কোম্পানির শেয়ার কিনবেন সে কোম্পানির গুড উইল ও তার পরিচালকদের সামাজিক ও রাজনৈতিক দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে। একটি কোম্পানি কতটুকু ভালো ব্যবসা করবে, ব্যবসার সম্প্রসারণের সম্ভাবনা কতটুকু তা নির্ভর করে এর উদ্যোক্তাদের দূরদর্শীতা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার উপর। একইভাবে মুনাফার সবটুকু হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হবে কি-না, লভ্যাংশের ক্ষেত্র অতিমাত্রায় রক্ষণশীল হবে, না-কি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হবে তাও নির্ভর করে তাদের উপর।
মনে রাখতে হবে, বিক্রির সময় নয়, বরং কেনার সময়ই লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ ভালো দামে শেয়ার কিনতে পালে ভালো লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কেনার সময় দাম বেশি পড়ে গেলে লাভের সম্ভাবনা একটু হলেও কমে আসবে।

এরকম আরো নিউজ পেতে ভিজিট করতে পারেন http://www.arthosuchak.com/archives/51573

সংসার সুখের হয় দুজনের গুণে!

জীবনের রং বদলায়। সময়ে- অসময়ে, কারণে-অকারণে বদলায়। জীবনের সব দিন কখনও এক যায় না। ভালো- মন্দ নিয়েই চলে যায় মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষণ।
তাইতো সম্পর্কে জড়ানোর পর মানুষের জীবনে আসে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত। বিভিন্ন প্রতিকূলতার ভিতর দিয়েই এগিয়ে যেতে হয় তাদের। তারপরও মানুষ কিন্তু বসে থাকে না। আশায় বুক বাঁধে। ছোট একটা সংসারের স্বপ্ন সযত্নে মনের মাঝে লালন করে।

ইফতারে ফলের রকমারি সালাদ

এই গরমে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে মন চাই ঠান্ডা কিছু খেতে। তাই ভাজাপোড়ার বদলে ইফতারিতে রাখতে পারেন ফ্রুট সালাদ। এক বাটি সালাদ আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার সাথে সাথে শরীরে যোগাবে শক্তি। তাই চলুন এই রমজানে ইফতারের জন্য নানা রকম মজাদার সালাদের রেসিপি দেখে নেই।
টক মিষ্টি ফ্রুট সালাদ
উপকরণ :
আপেল কুচি ১ কাপ, আনারস কুচি ১ কাপ, কলা কুচি ১ কাপ, কমলা কুচি ১ কাপ, আঙুর কুচি ১ কাপ, আম কুচি ১ কাপ, স্ট্রবেরী কুচি ১ কাপ, আনার ১ কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, বিট লবণ গুঁড়া আধা চা চামচ, মধু ১ কাপ, লবণ ১ চা চামচ, লেবুররস ২ চা চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা চামচ।
প্রনালী: একটা বাটিতে সব ফল নিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস, লবণ দিয়ে ভালো করে মাখুন। এবার ফলের মিশ্রণের ওপর একে একে গোলমরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, মধু, পুদিনা পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। তৈরী হয়ে গেল মজাদার ফ্রুট সালাদ।
ছোলা ফলের সালাদ

উপকরণ:
কাবলি ছোলা ১ কাপ, পছন্দমতো ফলের কুচি ২ কাপ (আম, আপেল, আমড়া, পেয়ারা, আঙুর, আনারস, আনার ইত্যাদি) পানি ঝরিয়ে টকদই ২ কাপ, তেঁতুলের মাড় ২ টেবিল-চামচ বা ইচ্ছেমতো, লেবুর রস ২ টেবিল-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ টেবিল-চামচ, বিটলবণ ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা-চামচ বা ইচ্ছেমতো, আলু বড় ১টি, গাজর মাঝারি ১টি, পেঁয়াজ মোটাকুচি আধা কাপ, পুদিনাপাতা বা ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ, শসা কুচি সিকি কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি সিকি কাপ, চাট মসলা ২ টেবিল চামচ, বেসনের চিকন ঝুরি ভাজা আধা কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ।

প্রণালী:
ছোলা পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সিকি কাপ ছোলা রেখে বাকি ছোলা ডুবোপানিতে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। আলু ও গাজর আলাদা সেদ্ধ করে ছোট কিউব করে কেটে নিতে হবে। ফুটন্ত গরম পানিতে পেঁয়াজ এক মিনিট রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বড় বাটিতে বেসনে ঝুরি ভাজা বাদে বাকি সব উপকরণ পর্যায়ক্রমে দিয়ে হালকা হাতে মাখিয়ে ফ্রিজে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে সার্ভিং ডিশে ঢেলে ওপরে ঝুরি ভাজা ছিটিয়ে দিয়ে মজাদার কাবলি ছোলা ও ফলের সালাদ পরিবেশন করতে হবে।


দই সালাদ
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই সালাদের জুড়ি নেই। আবার খাবারের সাথে খেলে এর স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণে। এমনই একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সালাদ হলো দই দিয়ে ফলের সালাদ। সালাদটি বানানো খুবই সহজ। আসুন জেনে নেয়া যাক দই দিয়ে ফলের সালাদ বানানোর রেসিপি।
উপকরণ:
টক দই/মিষ্টি দই ২৫০ গ্রাম, ফল ৫০০ গ্রাম (কলা, আপেল, আঙ্গুর, কমলা, পেপে, আনার, কিসমিস ইত্যাদি), মধু দুই টেবিল চামচ, গোল মরিচের গুড়া (পরিমাণ মত), লবণ পরিমাণ মত, জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ, পেস্তা বাদাম।
প্রণালীঃ
সব ফল ধুয়ে কিউব করে কেটে নিন।এবার ফলের সাথে সব উপকরণ ভালো করে মাখিয়ে নিন। বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করুন দই – ফলের সালাদ।

ধনীদের যে বিষয় আপনি জানেন না

কেউ রাতারাতি ধনী হতে পারেন না। ধনী হওয়ার জন্য চাই সাধনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধনীরা এমন কিছু বিষয় জানেন, যা আপনি জানেন না। শুধু তাই নয়, বিষয়গুলো অক্ষরে অক্ষরে পালনও করেন তারা, যা আপনি করেন না। আর এ কারনেই তিনি ধনী, আর আপনি গরীব।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ধনী হতে আপনাকে অর্থনৈতিক মুক্তির ওপর চোখ রাখতে হবে; বর্তমানকে উৎসর্গ করতে হবে ভবিষ্যত গঠনের আশায়। এছাড়া রয়েছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়, যেগুলো ধনীরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকেন।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা:
সকালে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যসম্মত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠলে স্বাস্থ্যবান, জ্ঞানী আর ধনী হওয়া যায়। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের ভাষায়, আরলি টু বেড অ্যান্ড আরলি টু রাইজ, মেকস অ্যা ম্যান হেলদি, ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইজ।
বিশ্বে যারা ধনী তারা এই পন্থা অবলম্বন করেন, যা আপনি করেন না। তারা সকাল সকাল ওঠেই কাজে বেরিয়ে পড়েন। অর্থ আয়ের নেশায় খুঁজে পান বেশি সময়। তাই ধনী হতে চাইলে আপনারও দরকার অর্থ আয়ে সকাল সকাল ঘুব থেকে ওঠে কাজে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা।
অতিরিক্ত কাজ করছেন-এমন ধারণা ত্যাগ করা:
আপনি অতিরিক্ত কাজ করছেন এই ধারণা আপনার শত্রু হয়ে ওঠতে পারে। সব কাজ করছেন এবং করতে হবে- এমন ধারণা কাজে গড়িমসি ভাব আনতে পারে। যা আপনার ধনী হওয়ার পথে অন্যতম বাধা। তাই ধনী হতে চাইলে এ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। জীবনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখ পানে।
শুরু করা:
কোনো কিছু না করার চেয়ে কিছু শুরু করাটা ভালো। তাই দ্রুত ব্যবসায় নেমে পড়তে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যাও আছে। ছোট কিছু দিয়ে শুরু করলে তার প্রাথমিক ফলও ছোট হবে। তাই বলে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। ধৈর্য্য ধরতে হবে। দেখবেন একদিন সাফল্য আসবেই।
মিতব্যয়ী হওয়া:
অকারণেই অর্থ অপচয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হতে হবে মিতব্যয়ী। আপনি যদি আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করেন, সেটা হবে সম্পদ অর্জনের অন্তরায়। সুতরাং মাসিক খরচ কোথায় কত করলেন সেটা লক্ষ্য করতে হবে। খরচ কমানোর উপায় বের করে বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করতে হবে।
তাই ক্রেডিট কার্ড বয়ে বেড়ানোর মানসিকতা পরিহার করতে হবে। যেখানে সেখানে অর্থ ব্যয় থেকে থাকতে হবে বিরত।
গরীবের মতো জীবনযাপন করা:
আমাদের চারপাশে অনেকেই আছে যারা ধনী কিন্তু তাদের চলাফেরায় সেটা বোঝা যায় না। তারা শুধু টাকা সঞ্চয় করেন। মানুষের সামনে বড়লোকী ভাব দেখান না। এটার উপকারিতা হচ্ছে আপনাকে কম খরচ করাতে শেখাবে।
প্রলোভন এড়িয়ে চলা:
অর্থ আয় করতে হবে, অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। তার মানে এটা নয় যে আপনাকে কারো প্রলোভন জালে জড়াতে হবে। কারণ অতিরিক্ত প্রলোভন ভালো নয়। আপনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন প্রলোভন সর্বদাই এড়িয়ে চলুন। প্রলোভনকে তৈরি করুন অর্থ আয়ের মাধ্যম হিসেবে।
শিক্ষিত হওয়া:
ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে শিক্ষিত হওয়া। শিক্ষা ছাড়া আপনি কোথাও উন্নতি করতে পারবেন না। বিশেষ করে একজন সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে নিজেকে গড়তে দরকার অর্থনৈতিক ধারণা। তাই বেশি করে জানতে হবে দৈনন্দিন খবর, অর্থনৈতিক খবর।
অর্থ তৈরিতে অর্থ ব্যয় করা:
অর্থ ব্যয় করুন, বিনিয়োগ করুন। তবে তা শুধু ব্যয় নয়, এর মাধ্যমে কিভাবে সঞ্চয় বাড়ানো যায়; নতুন করে অর্থ তৈরি করা যায় সে বিষয়ে ভাবুন।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থকে দুই ভাগে ভাগ করা:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কখনই এক ঝুড়িতে সব অর্থকে ঢেলে ফেলবেন না। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই হাতে কিছু সঞ্চয় রেখে দিতে হবে। এটা আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবে।

ভরা মৌসুমে মন্দার খপ্পরে দেশীয় জুতা

homemade-shoes
সস্তা বিদেশি পণ্য ও কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে ভাল নেই দেশীয় জুতার উদ্যোক্তা ও পাইকারি ব্যবসায়িরা।
ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, রমজান শুরু হয়ে গেলেও তেমন বেচা-কেনা নেই দেশীয় জুতার বাজারে। তাই মূলধন ও শ্রমের বিনিয়োগ নিয়ে বিপাকে আছেন তারা।
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া থেকে গুলিস্তান এলাকা দেশি জুতার প্রধান মার্কেট বলে সারাদেশে পরিচিত। এখানকার জাকের সুপার মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, কেটস সেন্টার এবং ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে দেশি জুতার পাইকারি বেচাকিনি চলে।
তবে জুতা তৈরি করার কারখানাগুলো অধিকাংশ পুরান ঢাকায়। এর মধ্যে সিদ্দিক বাজার, সিরাতোলি, সুরিটোলা ও নবাবগঞ্জসহ ঢাকার বাইরে ভৈরবেও দেশি জুতা তৈরির কারখানা রয়েছে।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার অভাবের অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।
তারা জানালেন, বিগত ঈদ মৌসুমে দোকানভেদে প্রতিদিন ২ থেকে ৫ লাখ টাকা বিক্রি হলেও এবারের বিক্রি ২০ থেকে ৫০ হাজারে আটকে আছে।
জুতার বিকিকিন সম্পর্কে লেদার টেকের স্বত্বাধিকারী মাসুদ বলেন, এবার লাভের চেয়ে লোকসান দিতে হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন বিক্রির চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে।
তিনি জানালেন, প্রতিদিন দোকান পরিচালনাবাবদ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়।
ব্যবসার মন্দা সম্পর্কে দেশীয় উদ্যোক্তারা জানালেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্য বাজার দখল করে আছে। এসব সস্তা জুতার ভিড়ে মার খেয়ে গেছে দেশীয় জুতা।
এ জন্য দেশীয় জুতার কাঁচামালের উচ্চমূল্যকে দায়ি করেছেন তারা।
কামাল হোসেন নামের এক উদ্যোক্তা ও পাইকারি বিক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে। বাজারে সকল পণ্যের দাম বাড়ায় আমরা পড়েছি বিপাকে।
পাশাপাশি রমজান বর্ষা মৌসুমে শুরু হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন ব্যবসায়িরা।
তারা জানান, শীতকালে জুতার চাহিদা থাকে বেশি।
তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যে দু-একজন আশাবাদীও খুঁজে পাওয়া গেল।
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের বৈশাখী সু’য়ের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহিম বলেন, ঈদে বাজার তেমন জমে ওঠেনি। আশা করি কিছু দিন পরে জমে উঠবে।

রমজানে সুস্থ থাকার খাদ্যাভাস

রমজান সিয়াম সাধনার মাস হলেও এ মাসেই যেন খাবার মহোৎসব শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। এ সময় ভাজাপোড়া খাবারে বেশি আগ্রহ দেখা যায়।

সারাদিনের রোজার পর প্রতিদিন পিঁয়াজুসহ যে কোনো ধরনের চপ না হলে যেন ইফতারে পূর্ণতা আসে না। এগুলো খেতে ভালো লাগলে শরীরের অনেক ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এ সময় প্রাধান্য দিন স্বাভাবিক খাবারকে।
এবার রমজানে সুস্থ থাকার খাদ্যাভাস জানিয়ে দিচ্ছে অর্থসূচক: