এক দিনের স্বপ্নপূরণে তিন খুদে ডাক্তার

শনিবার বেলা বারোটা। ভারতের এসএসকেএম হাসপাতালের ব্যস্ত অঙ্কোলজি বহির্বিভাগ৷ বেডে শুয়ে থাকা রোগীর পেট টিপে পরীক্ষা করছেন ডাক্তার। খানিক পর স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে সমস্যাটা ভালো করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতেই বিপত্তি!
ডাক্তারবাবুর হাতই যে পৌঁছচ্ছে না রোগীর শরীরের প্রান্তে। সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসলো শক্তপোক্ত দুটো হাত। ডাক্তারকে কোলে তুলে এগিয়ে দিল রোগীর দিকে।
কারণ, ডাক্তারের বয়স যে মোটে সাত। গপ্পটা এ রকম- ভারতের বসিরহাটের সরিফা খাতুন, হাসনাবাদের হাবিব গাজি আর নদিয়ার অন্তরা দাস। স্বপ্ন দেখেছিল বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার। কিন্ত, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তিন শিশুর সেই স্বপ্ন মাঝ পথেই শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
এমনই গুরুতর অসুস্থ শিশুদের স্বপ্নপূরণে এই মূহুর্তে এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শনিবার সেই সংস্থার সদস্য সরিফা, অন্তরাদের ‘এক দিনের ডাক্তার’ করলেন এসএসকেএম হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কৌশিক চট্টোপাধ্যায়।
বিশেষ ভাবে তৈরি বহির্বিভাগ, রোগী সেজে প্রস্ত্তত জুনিয়র ডাক্তার, ছোট মাপের অ্যাপ্রন, স্টেথোস্কোপ, প্রেসক্রিপশন লেখার আলাদা প্যাড পর্যন্ত। দু’ঘণ্টার ডাক্তারি সেশনের পর ‘এক দিনের ডাক্তার’দের চওড়া হাসিমুখই বুঝিয়ে দিল তাদের তৃপ্তি৷ আর কৌশিকবাবু?
তিনি বললেন, ফুটফুটে ওই বাচ্চাগুলোর স্বপ্নপূরণ করতে পেরে আমি খুবই খুশি। সূত্র- এই সময়।

0 comments :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন