ভরা মৌসুমে মন্দার খপ্পরে দেশীয় জুতা

homemade-shoes
সস্তা বিদেশি পণ্য ও কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে ভাল নেই দেশীয় জুতার উদ্যোক্তা ও পাইকারি ব্যবসায়িরা।
ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, রমজান শুরু হয়ে গেলেও তেমন বেচা-কেনা নেই দেশীয় জুতার বাজারে। তাই মূলধন ও শ্রমের বিনিয়োগ নিয়ে বিপাকে আছেন তারা।
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া থেকে গুলিস্তান এলাকা দেশি জুতার প্রধান মার্কেট বলে সারাদেশে পরিচিত। এখানকার জাকের সুপার মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, কেটস সেন্টার এবং ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে দেশি জুতার পাইকারি বেচাকিনি চলে।
তবে জুতা তৈরি করার কারখানাগুলো অধিকাংশ পুরান ঢাকায়। এর মধ্যে সিদ্দিক বাজার, সিরাতোলি, সুরিটোলা ও নবাবগঞ্জসহ ঢাকার বাইরে ভৈরবেও দেশি জুতা তৈরির কারখানা রয়েছে।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার অভাবের অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।
তারা জানালেন, বিগত ঈদ মৌসুমে দোকানভেদে প্রতিদিন ২ থেকে ৫ লাখ টাকা বিক্রি হলেও এবারের বিক্রি ২০ থেকে ৫০ হাজারে আটকে আছে।
জুতার বিকিকিন সম্পর্কে লেদার টেকের স্বত্বাধিকারী মাসুদ বলেন, এবার লাভের চেয়ে লোকসান দিতে হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন বিক্রির চেয়ে খরচ বেশি হচ্ছে।
তিনি জানালেন, প্রতিদিন দোকান পরিচালনাবাবদ ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়।
ব্যবসার মন্দা সম্পর্কে দেশীয় উদ্যোক্তারা জানালেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্য বাজার দখল করে আছে। এসব সস্তা জুতার ভিড়ে মার খেয়ে গেছে দেশীয় জুতা।
এ জন্য দেশীয় জুতার কাঁচামালের উচ্চমূল্যকে দায়ি করেছেন তারা।
কামাল হোসেন নামের এক উদ্যোক্তা ও পাইকারি বিক্রেতা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে। বাজারে সকল পণ্যের দাম বাড়ায় আমরা পড়েছি বিপাকে।
পাশাপাশি রমজান বর্ষা মৌসুমে শুরু হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তায় আছেন ব্যবসায়িরা।
তারা জানান, শীতকালে জুতার চাহিদা থাকে বেশি।
তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যে দু-একজন আশাবাদীও খুঁজে পাওয়া গেল।
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটের বৈশাখী সু’য়ের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহিম বলেন, ঈদে বাজার তেমন জমে ওঠেনি। আশা করি কিছু দিন পরে জমে উঠবে।

0 comments :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন